সারা বিশ্বের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা নানাবিধ কৌশল ব্যবহার করেও শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত মুনাফা করতে ব্যর্থ । বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে মাত্র ৫% বিনিয়োগকারী মুনাফা করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সংখ্যাটা কত সে জরিপ হয়তো এখনো করা হয়নি। তবে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর পরিচিত পরিমন্ডল থেকে যে আভাস পেয়েছি তাতে অনুমিত হয় এই সংখ্যাটা ১% এরও কম। বাজারের উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী মুনাফার মুখ দেখলেও সে মুনাফা কেবল কাগজে সীমাবব্ধ থাকে যা আর পকেটস্ত করা হয়না। আরো দর বৃদ্ধির আশায় আরো কিছুদিন শেয়ার ধরে রাখতে রাখতে বাজারের পতন শুরু হলে ক্রেতা পাওয়া দুষ্কর হয় । মনস্তাত্বিকভাবে বার বার বিফল হয়েও এই বৃত্ত থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কিছুতেই যেনো বের হতে পারেনা। মনস্তত্বের এই মহাসমস্যার সমাধানে Behavioral Finance এখন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।
Behavioral Finance অপেক্ষাকৃত একটি নতুন ধারণা। বাংলাদেশে এখনো এই বিষয়ে আলোচনা হয়না বললেই চলে। আর্থিক ব্যবস্থাপনার এই বিষয়টির একেবারে মৌলিক ধারণা নিতে ও আলোচনার মাধ্যমে তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই Behafin এর যাত্রা শুরু। শেয়ার বাজারের তাপমাত্রা বুঝতে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ কিভাবে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে তা আলোচনা করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এই বিষয়ে পাঠকের যে কোনো ধরণের মতামত ও পরামর্শ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে।