মূল্য-আয় অনুপাত

বিষয়টি দুই প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা যাক।

প্রেক্ষাপট – ১: ধরি A, B, C প্রতিটি শেয়ারের আয় হয়েছে ২ টাকা এবং এদের বর্তমান দর যথাক্রমে ১২, ১৪ ও ১৬ টাকা।

কোনটি কিনবেন? সবচেয়ে কম দামে (Price) যেটার সমপরিমান আয় (Earning) হচ্ছে সেটি। ১২ টাকায় ২ টাকা আয়, মানে A শেয়ার।

প্রেক্ষাপট – ২: ধরি X, Y, Z প্রতিটি শেয়ারের বর্তমান দর ১২ টাকা এবং এদের আয় যথাক্রমে ৪, ৩ ও ২ টাকা।

কোনটি কিনবেন? একই দামে (Price) সবচেয়ে বেশি আয় (Earning) যেটার সেটা। ১২ টাকায় ৪ টাকা আয়, মানে X শেয়ার!

দুই প্রেক্ষাপটেই Price এর সাথে Earning এর তুলনা করা হয়েছে। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা যাকে ”তুলনা“ বলছি অংকের ভাষায় তাকেই আবার “অনুপাত” বলি। এই অনুপাতের ইংরেজি হচ্ছে Ratio! এত এত বক্তব্য বাদ দিয়ে সহজ করে এই তুলনাটা আমরা এভাবে লিখতে পারি:

Price এর সাথে Earning এর তুলনা = Price/Earning = P/E বা PE Ratio !

তাহলে ২ টাকা Earning এর A, B ও C এর PE Ratio যথাক্রমে ১২/২, ১৪/২ ও ১৬/২ অর্থাৎ ৬, ৭ ও ৮!

এবং ১২ টাকা Price এর X, Y ও Z এর PE Ratio যথাক্রমে ১২/৪, ১২/৩ ও ১২/২ অর্থাৎ ৩, ৪ ও ৬!


প্রথম প্রেক্ষাপটে আমরা A শেয়ারটি নির্বাচন করেছিলাম এবং দ্বিতীয় প্রেক্ষাপটে X শেয়ারটি নির্বাচন করেছিলাম। উপরে দেখা যাচ্ছে A শেয়ারটির পিই সবচেয়ে কম এবং X শেয়ারটির পিই সবচেয়ে কম। তাই অন্যভাবে বলা যায়, যে শেয়ারের পিই সবচেয়ে কম সেটি কিনতে হয়। তাহলে A, B, C, X, Y ও Z এর মধ্যে আপনি কোন শেয়ারটি কিনবেন? যেটার পিই সবচেয়ে কম সেটি অর্থাৎ X শেয়ার।

অংক করে আমাদেরকে পিই বের করার দরকার পড়েনা। কারণ ডিএসই এর ওয়েবসাইটে প্রতিদিনের PE এর লিস্ট আপডেট করা হয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *