আচরণিক চক্র

বাজারের উত্থান-পতনের সাথে সাথে বিনিয়োগকারীর মানসিক আচরণেরও অনেক পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনকে কতকগুলো ধাপে ভাগ করা যায়, যেটা আজকের এই আলোচনায় তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

আশাবাদ: এটা হচ্ছে জীবনচক্রের প্রথম ধাপ। এই ধাপে বাজারের উর্ধগতি ভাব বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করে তোলে। তারা বিশ্বাস করতে থাকে ভবিষ্যতে বাজার ভালোর দিকে যাবে। তাই নিজেরা আস্তে আস্তে শেয়ার কিনতে শুরু করে, আবার অন্যদেরকেও শেয়ার কেনায় উৎসাহিত করে।

হুজুগ: প্রাথমিক বিনিয়োগে যখন বিনিয়োগকারী সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করে তখন তারা কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। যে ধারণার উপর ভিত্তি করে তারা এই সাফল্য পেলো ঐ একই সুত্র প্রয়োগ করে তারা আরো বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুঁজতে থাকে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে থাকে। এই পর্যায়ে তারা কিছুটা উত্তেজনা অনুভব করে। (“হুজুগ” শব্দটা এখানে সঠিক নয়, তবে অন্য কোনো বাংলা শব্দও ঠিক মনে করতে পারছি না)।

উত্তেজনা: এই পর্যায়কে চরম উত্তেজনার মুহুর্ত বলা যেতে পারে। অল্প সময়ে তারা এত বেশি মুনাফা দেখে বিনিয়োগকারীর রাতের ঘুমে বিঘ্ন হয়, রাতে এক ঘর থেকে আরেক ঘর পায়চারি করতে থাকে। এক সপ্নীল আবেশে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তারা তাদের সাফল্যের কথা ভুলে গিয়ে বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গর্ব ও মন্তব্য করতে শুরু করে। ভাবতে থাকে কতই না smart তারা!

রমরমা: বিনিয়োগকারীর জীবনচক্রের এই ধাপটি হচ্ছে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ। প্রত্যেকটা সিদ্ধান্তের যখন খুব দ্রুত ও লাভজনক ফল পেতে থাকে তখন তারা বাজারের ঝুঁকিকে উপেক্ষা বা অগ্রাহ্য করতে শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *